আজ বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ময়লার ভাগাড় এখন ফুলের বাগান

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের আশেপাশের জায়গায় কিছুদিন আগেও ছিলো ময়লার ভাগাড়, নিয়মিত ফেলা হতো বর্জ্য। তবে সেই ময়লা অপসারণ করে লাগানো হয়েছে শত শত ফুলের গাছ, করা হয়েছে ফুল বাগান। এখন আর সেখানে কেউ ফেলেন না ময়লা-আবর্জনা। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপে।

তবে, এ বাগান থেকে কিছুটা দুরে এখনো ময়লা ফেলা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এখানকার ময়লা অপসারণ করে এখানেও বাগান করা হবে বলে জানিয়েছে সাংসদের ঘনিষ্ঠ একটি সুত্র।

জানা যায়, চাষাড়া-সাইনবোর্ড সড়কের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানটি একসময় ছিল ময়লার ভাগাড়। কিছুদিন আগেও সেখানে নিয়মিত বর্জ্য ফেলা হতো। জায়গাটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ছিল পথচারী, এলাকাবাসী ও এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শত শত যানবাহনের যাত্রীরা। নাক-মুখ চেপে যাতায়াত করতেন সবাই। বর্তমানে এ স্থানের বেশীর ভাগ জায়গার ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করে এখানে করা হয়েছে ফুলের বাগান।

মহৎ এ উদ্যোগটি গ্রহন করেছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। তার এ উদ্যোগটি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে, সাড়া ফেলেছে জালকুড়িবাসীসহ সমগ্র নারায়ণগঞ্জবাসীর মাঝে। বর্তমানে পরিচ্ছন্ন এই স্থানটি যেন ফের ময়লার ভাগাড়ে পরিণত না হয় সেদিকে নজর দেয়ার দাবী সচেনত মহলের।

জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মকবুল মিয়া জানান, আমাদের জালকুড়ি বাসীকে আগে মানুষ ময়লা-আবর্জনার এলাকার মানুষ বলে ডাকতো। কিন্তু আমাদের এমপি শামীম ওসমানের কারণে এখন সেই নাম ঘুচে যাবে। এখন ময়লার ভাগাড় এখানে আর নেই। এমপি সাহেব এখানে ফুলের বাগান গড়ে তুলছেন। এমপি সাহেবের এ অবদান আমরা কখনো ভুলবো না।

সচেতন মহলের মতে, সংসদ সদস্য তার কাজ করেছেন। নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের যে ময়লার দূর্ঘন্ধ তা অবসান করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন তারা। তারা বলেন, জনগন যদি সচেতন থাকে তাহলে এখানে আর কেউ কখনো ময়লা ফেলতে পারবে না। এদিকে, সাংসদ শামীম ওসমান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ময়লার ভাগাড় ও ফুলের বাগানের বিষয়ে বলেন, আগে এখানে কারা কারা যেন ময়লা ফেলতো। এ ময়লার কারণে আমাদের তথা নারায়ণগঞ্জবাসীকে সবসময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো।

এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তারাও বলতেন, আপনারা কেমন? আপনাদের শহরের প্রবেশদ্বারে এমন ময়লার ভাগাড় দেখতে কি আপনাদের ভালো লাগে? আমি তখন বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। তারপর থেকেই আমি এখানে ফুলের বাগান করার চিন্তা করেছি। সেই চিন্তা মোতাবেক বর্তমানে এখানে ফুল গাছ লাগিয়ে ফুলের বাগান করা হয়েছে, যাতে এখানে আর কেউ ময়লা না ফেলতে পারে এবং নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে যেন আর কাউকে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে না হয়।

সর্বশেষ সংবাদ